চন্দ্রাভিযান

চন্দ্রাভিযান
আলী হোসেন

স্কুলে যাও খোকন সোনা
মা বললেন হেসে,
বড় হলে তোমায় নিয়ে
যাব চাঁদের দেশে।
দুষ্ট ছেলে মিচকি হেসে
বললো, না-না-না
আর্মস্ট্রোং গেছেন সেথায়
সেথায় যাব না।
মায়ের প্রশ্ন অবাক হয়ে
এবং একটূ হেসে
আর্মস্ট্রোং গেছেন বুঝি
ও-ওই চাঁদের দেশে!
এখান থেকে অত দূরে
হয় কখনও তা?
সত্যি করে বল-না খোকা
বকিস নি যা-তা

দুষ্টু ছেলে মিষ্টি হেসে
বললো শোন গল্প
বেতারেতে শুনেছি আমি
মনেও আছে অল্প।
দিনটি ছিল একুশে জুলাই
ষাট দশকের শেষ
‘ঈগল’ সাথে এপোলো এগারো
ছাড়লো মাটির দেশ।
মরুৎ সাগর উল্কাপিণ্ড
সব পিছনে ফেলে
‘এপোলো এগারো’ ‘মুক্তি বেগে’
গেলো শুন্যে চলে।

তিন আমেরিকান আছেন বসে
ছোট্ট ফেরিযানে,
একটি করে ওয়ার্লেস তাদের
লাগানো আছে কানে।
আর্মষ্ট্রং আছেন, কলিন্স আছেন
আছেন অলড্রিন।
হৃদয় তাদের কাঁপলো নাতো
নয়-কো তারা ক্ষীণ।

দীর্ঘ পথের সীমা পেলো
পৌছে চাঁদের আকাশ,
সেথায় জেনো নেই তো কোনো
জীবনদায়ী বাতাস।
অবশেষে চাঁদের দেশে
নামলো ওরা তিন
যন্ত্র ‘ঈগল’, আর্মষ্ট্রং
সহচর অলড্রিন।
এই বিশ্বের আর্মষ্ট্রং
চাঁদে দিলেন পা,
শুনে মানুষ অবাক হলেন
দেখে হলেন হাঁ।

চাঁদের আকাশ মেঘশূন্য
হয় না সেথা বৃষ্টি,
ভাবলে কথা অবাক লাগে
প্রকৃতির এই সৃষ্টি।
নুড়ি-পাথর বালির পাহাড়
আছে কত খাল
শুনলে তুমি অবাক হবে
নেই-তো তাতে জল।
চাঁদমামা বলেও সেথা
যায় না পাওয়া আদর
কারণ সেথা নেই কো কোন
অক্সিজেনের চাদর।

তাই তো আমি চাইনা যেতে
চাঁদে কোনো দিন
মঙ্গলেতে চাইগো যেতে
নই আমিও ক্ষীণ।
মঙ্গলেতে পেলেও পাওয়া
যেতে পারে জল,
বিজ্ঞানীদের গবেষনায়
জাগছে মনে বল।
জীবের দেখা মিলতে পারে
বিজ্ঞানীরা বলে,
মানুষ সেথা বাস করবে
হয় তো ভাবিকালে







শেষ
২৯.০৯.১৯৮৬


বিজ্ঞান মেলা
সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪, শারদীয় সংখ্যা


Comments

Popular Posts